মাদারীপুরের শিবচরে গরু ডাকাতির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন শাহিন সরকার (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী। তাকে পুলিশে সোপর্দ করার পর বেরিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অপরাধজগতের ভয়ঙ্কর চিত্র-ডাকাতি থেকে শুরু করে ধর্ষণ পর্যন্ত নানা অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে শিবচর থানা পুলিশ।শাহিন সরকার শিবচরের চরজানাজাত ইউনিয়নের কনাই সরকারের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নুরনাহার ও সেলিম সরকার দম্পতির সন্তান। তার মা ছিলেন ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ভাই শামীম সরকার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, এবং ভাবী বর্তমান ইউপি সদস্য। রাজনৈতিক পরিচয়কে পুঁজি করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন শাহিন।স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে শাহিন সরকার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, জেলেদের ওপর চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, মাদক সংশ্লিষ্টতা ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।একাধিক স্থানীয়রা জানান, ২০১২ সালে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রামবাসীরা তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। স্থানীয় সালিশে তার বিরুদ্ধে ১০০ দোররার শাস্তি দেওয়া হয়। এছাড়া ২০০৮ সালে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে তিনি আটক হয়ে শাস্তি ভোগ করেন। শাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় একাধিকবার কারাভোগের ঘটনাও জানা গেছে।শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, “শাহিন সরকার দীর্ঘদিন ধরে চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর