রাজধানী ঢাকার ২ স্থানে আজও সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। একদিকে কাকরাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো গুলিস্তানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কার্যালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন চলছে।কাকরাইল সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে গতকাল বুধবার (১৪ মে) থেকেই। বিকেলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামনে অবরোধ কর্মসূচি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হলেও আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে আবারও অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।ফলে সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে। কর্মজীবী মানুষ ও যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। কাকরাইল, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।সকাল ৯টা থেকে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী, উড়োজাহাজ ক্রসিং, বিজয় সরণি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মালিবাগ, কাকরাইল মোড়, গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় কোথাও তীব্র যানজট, কোথাও আবার ছিল যানবাহনের চরম চাপ।দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার মানেই বাড়তি চাপ। এদিন এমনিতেই সড়কে তীব্র চাপ তৈরি হয়। তার মধ্যে আজকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থানে সড়কে যানচলাচল বন্ধ। যে কারণে সড়কে সকাল থেকেই চাপ। সে চাপ অধিকাংশ স্থানে যানজট তৈরি করেছে।তিনি বলেন, অফিসগামী যাত্রী, পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় বিভিন্ন পয়েন্টে ডাইভারশন করা হয়েছে। গুলিস্তান-মতিঝিল গন্তব্য হলে নীলক্ষেত নিউমার্কেট সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রফিকুল ইসলাম জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। পাশাপাশি গুলিস্তান এলাকাও আংশিক অবরোধে রয়েছে। এই দুই স্থানে সড়ক বন্ধ থাকায় তার প্রভাব পড়েছে তেজগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়কে। বাড়তি যানবাহনের চাপে সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের সারি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ফোর্সও মাঠে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর