ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাপে কাটা এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কাতারে যাওয়ার প্রস্তুতিতে থাকা ওই যুবককে পদ্মগোখরো সাপে কামড় দেওয়ার পর আধুনিক চিকিৎসার বদলে নেওয়া হয় স্থানীয় এক উজারের কাছে। পরবর্তীতে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের পক্ষ থেকে।মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে নিজ জমিতে ধান রোপণের সময় একটি বিষাক্ত সাপে কামড় দেয় জসিমকে। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন তাকে পাশের গ্রাম অষ্টগ্রামে এক পরিচিত উজারের কাছে নিয়ে যান।নিহতের নাম মো. জসিম উদ্দিন (৩০)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের চানপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম সাফর উদ্দিন।স্থানীয়ভাবে ঝাড়ফুঁক ও কিছু গাছগাছড়ার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। কিছু সময় পর জসিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দ্রুত ঢাকায় রেফার করেন। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথেই জসিমের মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবার এবং স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সাপে কাটার পর প্রাথমিক চিকিৎসার পরিবর্তে গ্রাম্য উজারের ওপর নির্ভর করায় সময় নষ্ট হয়েছে। যদি দ্রুত আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো জসিমকে বাঁচানো যেতো।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, এখনো কুসংস্কার ও অজ্ঞতার কারণে এমন মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর