সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, অপমানজনক ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে বরিশালের প্রবীণ সাংবাদিক ও গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।বুধবার (১৪ মে) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার এজাহারে বলা হয়, গৌরনদী পৌরসভার আশোকাঠি গ্রামের মৃত মোস্তফা ফকিরের ছেলে টিএম তুহিন ওরফে তুহিন ফকির (৩৮) তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একাধিক অশালীন, কটুক্তি পূর্ণ ও মিথ্যা পোস্ট করেন। এসব পোস্টে সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া, তার পরিবার এবং এলাকার এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, অবমাননাকর এবং আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করা হয়।এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে গৌরনদীতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বক্তব্য রাখেন। এতে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর অভিযুক্ত তুহিন ফকির ওই সংবাদকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একাধিক পোস্টে গিয়াস উদ্দিন মিয়াকে মাদক ব্যবসায়ী, অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনকারী বলে অপপ্রচার চালান। একইসঙ্গে তিনি সংবাদ সম্মেলনকারী মুক্তিযোদ্ধাকে কটাক্ষ করে কুক বলেও আক্রমণ করেন।এ ঘটনায় প্রবীণ সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া বলেন, আমি চার দশক ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের অপপ্রচার আমার ও আমার পরিবার সামাজিক ও পেশাগত মর্যাদাকে আঘাত করেছে।তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত তুহিন ফকির বর্তমানে কোনো বৈধ গণমাধ্যমে কর্মরত নন এবং সাংবাদিকতার কোনও বৈধ পরিচয়পত্র বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিও নেই।গৌরনদী প্রেসক্লাবের একাধিক সদস্য এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া এ অঞ্চলের একজন বর্ষীয়ান, সৎ ও নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালিয়ে সাংবাদিকতার পবিত্রতা ও একজন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানকেও ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিয়া বিগত ৩৮ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত। তিনি দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, সমকাল ও প্রথম আলোর মতো জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি মাইটিভির গৌরনদী প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ও গৌরনদী প্রেসক্লাবের চারবারের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে তিনি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এবিষ অভিযুক্ত টিএম তুহিন ফকির তার বক্তব্যর জন্য একাধীক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন না ধারাতে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর