কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের নতুন ভবনের দেখা এখনো মিলেনি। ঢেমুশিয়া ইউনিয়নটি অবিভক্ত পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন থেকে আলাদা করে একটি নতুন ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ২০০৬ সালের ৩০ জুন উক্ত ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ কিছু দিন চললে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে সমস্যা হওয়ার পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন বাসী ১৯ বছর পর্যন্ত পরিষদ ভবনহীন, তাই মানুষ জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা হওয়ার থেকে চারবার সাধারণ নির্বাচন ও একবার উপনির্বাচন হয়েছিল তার মধ্যে পাঁচজন চেয়ারম্যান আসল আর গেল কিন্তু ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন বাসী ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবনের দেখা পায়নি। স্থানীয়রা বলেন ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে পরিষদের ভবন না থাকার কারণে আমাদের দৈনন্দিন সেবা গুলো পেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। স্থায়ীভাবে পরিষদ ভবন না থাকার কারণে বিগত চেয়ারম্যানগণ স্কুল, মানুষের দোকান ও মানুষের কাছারিঘর ভাড়া করে পরিষদের কার্যক্রাম চালিয়ে গিয়েছিল এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। সেসব দোকান বা কাছারিঘরে জায়গা কম হওয়ায় মানুষের দৈনন্দিন কাজ গুলো করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি ইউপি ভবণটি দ্রুত সময়ে নির্মাণ করে জনগণকএ দ্রুত সময়ে সেবা পাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়সাল উদ্দিন বলেন, খুব শীঘ্রই পরিষদ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। পরিষদের ভবণ নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া ভবণ নির্মাণের জন্য দ্রুত দরপত্র তৈরি করা হচ্ছে। দরপত্র অনলাইন টেন্ডারের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর