ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন (৪৮) ও তার বড় ভাই নবাব আলীকে (৫৫) বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে তাদের ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মো. নাসির উদ্দিন ও নবাব আলী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাকাইল এলাকার বাসিন্দা মৃত সালাম মিয়ার ছেলে। এরআগে নাসির উদ্দিন থানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার ১৮ ঘন্টা পর মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ৮ টার দিকে একটি মাইক্রোবাসযোগে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। গতকাল সোমবার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের বাকাইল সড়কে নিজের টিন বিক্রির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর বেলা দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে আওয়ামী লীগের ওই নেতা মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে থানার পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে পুলিশ মেসের প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে এ ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশ মো. নাসির উদ্দিনের বড় ভাই নবাব আলীকে থানায় নিয়ে আসে। নাসিরউদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আমার ভাই নাসির উদ্দিন আজ সকালে আলফাডাঙ্গা থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। পারিবারিক সিদ্ধান্তেই আমার ভাই আত্মসমর্পণ করেন।’তৈয়বুর রহমান জুয়েল আরও বলেন, ‘আমার ভাই নাসির উদ্দিন রাজনীতি করেন; কিন্তু কোনো মামলার আসামি নন। আমার বড় ভাই নবাব আলী কোন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু পুলিশ আমার দুই ভাইকে রাজনৈতিক একটি মামলায় অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠিয়েছে।’এবিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দুই সহোদরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার ইদ্রিস সর্দারের ছেলে বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সর্দার। এ মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর