প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করলেও ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে রয়েছে একটি মাত্র শৌচাগার। যেখানে প্রবাসী কিংবা বিদেশগামীদের প্রবেশ করতে দিতে হয় টাকা।দেশের বাইরে আসা যাওয়ায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনেকটা সময় কাটাতে হয় যাত্রীদের। সেই সঙ্গে যারা স্বাগত আর বিদায় জানাতে আসেন যাত্রীকে তাদেরও কখনও কখনও বিমানবন্দরে পার করতে হয় দীর্ঘসময়। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন হয় শৌচাগার ব্যবহারের। কিন্তু শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে শৌচাগার আছে মাত্র একটি। যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। লাইনে দাঁড়িয়ে এই নোংরা, দুর্গন্ধের শৌচাগার ব্যবহার শেষে গুণতে হয় ৫ টাকা। যাত্রীরা বলছেন, বিমানবন্দরে এমন অপরিচ্ছন্ন ও ব্যবহার অনুপযোগী শৌচাগার নেই অন্য কোন দেশে। এ সময় সার্বিক সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। যাত্রীরা জানায়, “আমরা বাইরের দেশগুলোতে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখি, কিন্তু আমাদের দেশে অনেক অপরিষ্কার দেখি। দেশের এয়ারপোর্টের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে আমাদের দেশের যে ইমেজ সেটা বিশ্বের কাছে কি বার্তা দিচ্ছে। কোনো দেশে এমন টয়লেট নাই, টাকা দিয়া ঢুকা লাগে আবার ভিতরে কোনো পরিবেশ নাই, যেহেতু বাংলাদেশ কিছু করারও নাই”। যারা প্রবাসে হাড়ভাঙা খাটুনি করে দেশে মূল্যবান রেমিটেনস পাঠান তারা আর তাদের স্বজনরা বলছেন, নামেই শুধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাজ আর সেবার মানদণ্ড ধরে রাখার প্রচেষ্টা যেন অদৃশ্য।স্বজনরা বলছেন, রেমিটেনস যোদ্ধাদের জন্য ভালো টয়লেট পর্যন্ত নাই। পরিবেশটা পরিষ্কার রাখা উচিত।জানা গেছে, বিমানবন্দরের বহুতল কার পার্কিংয়ে থাকা একমাত্র শৌচাগারের ইজারা ৯০ লাখ টাকা। তাই নেয়া হয় ৫ টাকা করে। তবে বিদেশগামীরা বলছেন অন্য কোন দেশে এমন অদ্ভুত নিয়ম দেখেননি তারা।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর