ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইবনে আব্বাস (রা:) কুরআন কোয়েস্ট কম্পিটিশন-২৫’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।রবিবার (১১ মে) দিনব্যাপী রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।অষ্টম শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কুরআনের জ্ঞানচর্চা এবং তরুণ প্রজন্মের মাঝে কুরআনের শিক্ষা ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ৩ মে, শনিবার রাত ৯টায়। অনলাইনে এমসিকিউ পদ্ধতিতে আয়োজিত বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রথম ১০০ জন শিক্ষার্থী। এরপর ১১ মে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত বাছাইপর্ব এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিজয়ী ২৫ জনকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, “কুরআনের আন্দোলন কোনো সীমাবদ্ধ ভূখণ্ড বা কালের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়—এটি বিশ্বজনীন ও চিরন্তন দাওয়াত। কুরআনের উদ্দেশ্য মানুষকে তাগুতের বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করে আল্লাহর সার্বভৌমত্বে আনয়ন করা। এটি মানুষকে সত্য, ন্যায় এবং তাওহিদের ভিত্তিতে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের দিকে আহ্বান জানায়।”উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, কুরআনের আন্দোলন কোনো সীমাবদ্ধ ভূখণ্ড বা কালের গণ্ডিতে আটকে থাকা নয়, এটি এক বিশ্বজনীন ও চিরন্তন দাওয়াত। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে তাগুতের বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করে আল্লাহর সার্বভৌমত্বে আনয়ন। কুরআনের আন্দোলন মানুষকে সত্য, ন্যায় এবং তওহিদের ভিত্তিতে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের দিকে আহ্বান জানায়।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কুরআন অধ্যয়ন হলো আত্মার পরিশুদ্ধি ও আলোর সন্ধান। এটি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোয় এনে, সঠিক পথের দিশা দেয় এবং আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করে। যে হৃদয়ে কুরআনের আলো প্রবেশ করে, সে হৃদয় আর কখনো অন্ধকারে ডুবে থাকে না।সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আলেম ড. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাশার। তিনি বলেন, কুরআন শিক্ষা শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য নয়; এটি চরিত্র, আত্মা ও সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি। এটি মানুষকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য শেখায়, জীবনকে করে পরিশীলিত ও অর্থপূর্ণ। যে ব্যক্তি কুরআনের আলোয় শিক্ষিত হয়, সে আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ হিসেবে গণ্য হয় এবং দুনিয়া-আখিরাতে সফলতার পথ খুঁজে পায়।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি মোজাফফর হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সেক্রেটারি আসিফ আব্দুল্লাহ।এসকে/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর