কিশোরগঞ্জের ভৈরব, কুলিয়ারচর ও করিমগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় বজ্রপাতে আরও একজন আহত হয়েছে।রবিবার (১১ মে) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব, কুলিয়ারচর ও করিমগঞ্জে বজ্রপাতের ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন, উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর এলাকার আফসর উদ্দিন মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (৬০), শ্রীনগর ইউনুছ মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (২৮) ও কুলিয়ারচর উপজেলার হাজরি নগর এলাকার সফিক ইসলাম সফু মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (২৫)। করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামের মাজু মিয়ার ছেলে হাদিস মিয়া (৩২)।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ উত্তর আকাশে ঘনকালো মেঘ জমে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় ফারুক মিয়া ও ফয়সাল মিয়া ভৈরবের নিজ নিজ বাড়ির পাশে মাঠে কাজ করছিলেন। ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কায় দ্রুত কাজ শেষ করতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হন তারা। একই সময়ে কুলিয়ারচরের ছয়সূতি এলাকায় মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কবির মিয়াও আহত হন। পরিবারের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক ডা. ওম্মে হাবীবা জুই বলেন, তিনজনকে হাসপাতালে আনার পর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত জেনে নিহতের স্বজনরা তাদের বাড়ি নিয়ে গেছে।ভৈরব কুলিয়ারচর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিবের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ভৈরবে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। বজ্রপাতের সময় আমাকেও কাজে বাইরে থাকতে হয়েছে। বজ্রপাতে ভৈরব ও কুলিয়ারচরে তিনজনের মৃত্যু বিষয়টি জেনেছি। আমি পুলিশ পাঠিয়ে নিহতদের পরিবারের খোঁজ নিয়েছি।হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকো জানান, হোসেনপুর উপজেলা সদরের কুড়িঘাট এলাকায় বজ্রপাতে আহত হন আড়াইবাড়িয়া গ্রামের আবু বকর। স্থানীয়রা তাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।অপরদিকে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার বিকেলে বাড়ির পাশে বেড়া মেরামতের কাজ করছিলেন হাদিস মিয়া। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর