পঞ্চগড়ের গরিনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকায় দুপুরবেলা মরিচ তুলতে গিয়ে একটি অচেনা প্রাণী দেখে চিৎকার করে ওঠেন কয়েকজন নারী। পাশের ভুট্টাখেতে ঘোড়া বা হরিণ সদৃশ প্রাণীটিকে দেখতে পেয়ে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে ভুট্টাখেতজুড়ে খোঁজ শুরু করেন। তখনই শুরু হয় প্রাণীটির ছোটাছুটি।একপর্যায়ে শতাধিক লোক একত্রিত হয়ে বেশ কিছুক্ষণ অনুসরণের পর প্রাণীটিকে ধরে ফেলেন এবং একটি ছায়াঘেরা স্থানে নিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ক্ষতবিক্ষত প্রাণীটির শরীরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং ঠান্ডা পানি ঢেলে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর বন বিভাগকে খবর দেওয়া হলে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে একটি ভ্যানে করে প্রাণীটিকে পঞ্চগড় বন বিভাগ কার্যালয়ে নিয়ে যান।রোববার দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, এটি ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় মুখ, মাথা ও পায়ে আঘাত পেয়ে প্রাণীটির শরীরে গভীর ক্ষত হয়েছে।পরে বন বিভাগের কর্মীরা জানিয়ে দেন, উদ্ধারকৃত প্রাণীটি একটি স্ত্রী নীলগাই, বয়স আনুমানিক দুই বছর। পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকেরা এর প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন।পঞ্চগড় ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেট ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজাউল করিম বলেন, “প্রাণীটির শরীরে ছয়-সাত দিন আগের ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করছি, সীমান্ত পেরোনোর সময় কাঁটাতারের আঘাতে এ রকম ক্ষত হয়েছে।”পঞ্চগড় বন বিভাগের সদর উপজেলা বিট কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন জানান, উদ্ধার করে নীলগাইটিকে বন বিভাগের কার্যালয়ে আনা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ শেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর