হঠাৎ প্রচন্ড চিৎকার করে বুক চেপে ধরে অজ্ঞান হয়ে যায় অবুঝ শিশু হাসিবুল্লাহ(২)! ফুটফুটে শিশুটি যখন প্রচন্ড যন্ত্রনায় অজ্ঞান হয় তখন পুরো একটি গ্রাম শুধু আফসোস করে আর নিরবে চোখের পানি ফেলে। অবুঝ শিশু হাসিবুল্লাহর হার্ট ফুটো ৮% ও হার্টের রক্তনালী চিকন হয়ে গেছে।হাসিবুল্লাহর মা হাসনা বেগম নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে ছেলে হাসিবুল্লাহকে বাঁচানোর জন্য ১৪-১০-২৪ সালে ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ছেলেকে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলেন দ্রুত অপারেশনের কথা বলেন। এবং ৪ লক্ষ টাকা খরচের কথা বলেন। হাতে সময় বেঁধে দেন ৪ মাস। এরপর হাসিবুল্লাহর মা শিশুকে নিয়ে যান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে।সেখানে গিয়ে তিনি একটু আশ্বাস পান। সেখানকার ডাক্তার বলেন শিশুটি অপারেশন করতে ১ লক্ষ টাকা লাগবে। তারাও সময় বেধে দেন মাত্র ৪ মাস। খুব আশা নিয়ে ১৫-১০-২৪ সালে বাড়ি ফিরে আজ ১০-০৫-২৫ পর্যন্ত প্রায় ৭ মাস টাকা যোগারের হাজারো চেষ্টা করেও ১ লক্ষ টাকা যাগাড় করতে পারেনি হতভাগী মা হাসনা বেগম। বর্তমানে শিশু হাসিবুল্লাহ অবস্থা খুবই খারাপ। ঠোট ও হাতের নখ মাঝে মাঝে কালো মাঝে মাঝে নিল হয়ে যাচ্ছে। হৃদকম্পন এতটা কঠিনভাবে হচ্ছে যেটা কল্পনা করার মতো না। অবুঝ শিশু হাসিবুল্লাহ বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের পুসকুনির পাড় এলাকায়। শিশু হাসিবুল্লাহর মা হাসনা বেগম সময়ের কন্ঠস্বরের এ প্রতিবেদককে বলেন, ছেলেকে কোলে নিলে মনে হয় ছেলেটা যেনো কতদুর থেকে দৌড়ে এসেছে! তার বুক এতো ধড়ফড় করে যে খুব ভয় লাগে। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার বাচ্চাটাকে বাঁচাতে আপনারা সাহায্য করুন। আমার ছেলেটা বিনা চিকিৎসায় মরে যাচ্ছে আপনারা সকলে সাহায্য করুণ। সমাজের হৃদয়বান বিত্তবানদের দয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।প্রতিবেদকের বক্তব্য: শিশুটির করুণ অবস্থা বিবেচনা করে আগামী ১৩-০৫-২৫ ইং (মঙ্গলবার) শিশুটিকে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হবে। সমাজের হৃদয়বান বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ আপনারা শিশুটিকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।শিশু হাসিবুল্লাহর পাশে দাড়াতে মা হাসনা বেগমের মোবাইল: ০১৩৪০৯২০৭৮১ (বিকাশ ও নগদ)ভিডিও কলে শিশুটিকে দেখতে: ০১৭১৩২০০০৯১ সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিবেদক।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর