মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মনিরুজ্জামন হত্যা মামলার এক আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে কোন ভুমিকা পালন করছেন না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। মামলার বাদী দাবি, হত্যা মামলার আসামি হয়েও আসামিরা থানা-পুলিশকে উৎকোষ দিয়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক কাটিয়েছে।মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালায়ের সামনে আসামিরা একটি মানববন্ধন করছে। প্রকাশ্যে তারা সভা সেমিনার ও ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করলেও পুলিশ তাদের বিষয় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ হন মাদারীপুরের মনিরুজ্জামান মনির। এ ঘটনায় গত ৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী মোসা: নিলুফা ইয়াসিন বাদি হয়ে ঢাকার সাহাবাগ থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৮০) প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নামে এবং আরো অজ্ঞাত ২৫০/৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। এই মামলায় ২১ নং আসামি করা হয় আওয়ামী লীগ কর্মী মাদারীপুর পুরান বাজার এলাকার জব্বার হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদারকে। ২২ং আসামী করা হয় পুর্ব রাস্তি এলাকার মো. আলী হাওলাদারের ছেলে শাখাওয়াত হাওলাদার।হত্যা মামলার এই দুই আসামি, স্বৈরাচারী সরকারের দোষর, আওয়ামী লীগ নেতারা প্রশাসনের সামনে প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছে।মামলার বাদী মোসা নিলুফা ইয়াসিন অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলনে নিহত আমার ভাইর খুনিদের কেনো প্রশাসন আটক করেছেন না, তাদের বিচার কি হবে না। পুলিশ ম্যানেজ করে আসামিরা প্রকাশ্যে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা আতঙ্কের মধ্যে জীবন পার করছি।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ জানান, এরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতেছে প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এরা সরাসরি হত্যা মামলার এজারভুক্ত আসামী। এদেরকে এখন পযন্ত ধরা হচ্ছে না। এরা নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল হোসেন বলেন তারা যেই মানববন্ধন করছে আমাদের অগোচরে করছে আমাদের সেটা জানা ছিল না যদি জানা থাকতো তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্তা নেওয়া হতো। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর