ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে সাবেক সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের হুমকি এবং মামলা তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলে এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুবাইয়া ইয়াসমিন নামে এক ভুক্তভোগী তরুণী । একই সঙ্গে তিনি ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।শনিবার (১০ মে) বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জুবাইয়া ইয়াসমিন জানান, তিনি বরিশালের একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে নার্সিং কোর্স শেষ করে বর্তমানে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে মাতা ও ছোট ভাইকে নিয়ে বসবাস করছেন। তার বাবা মৃত। একই এলাকার বাকেরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রুহুল আমিন তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি গত ২২ জানুয়ারি বাকেরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর: জিআর-২৩/২৫)।কিন্তু মামলার চার মাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেনি। বরং ৭ মে রাতে সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের বাসভবনে ডেকে নিয়ে গিয়ে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, “সেই রাতে সেখানে থানার নবাগত ওসি আবুল কালাম আজাদ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জেলও উপস্থিত ছিলেন। সাবেক এমপি আমার কোনো কথা না শুনেই বলেন, মামলা তুলে না নিলে সকালে এর ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে দেবেন। এমনকি আমার বিরুদ্ধে টুএলেভেন দেওয়ার হুমকিও দেন।”তিনি অভিযোগ করেন, এর আগেও বাকেরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জোমাদ্দার ও ২নং ওয়ার্ড সভাপতি শেখ মাহমুদুর রহমান রিমন তাঁর বাড়িতে গিয়ে মামলাটি তুলে নিতে হুমকি দেন। এ অবস্থায় তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান জুবাইয়া ইয়াসমিন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি মাননীয় আইজিপি, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তোফাজ্জেলকে প্রত্যাহার এবং হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।তিনি বলেন, “আমি লামিয়ার মতো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হলে, তার সম্পূর্ণ দায় প্রশাসন ও হুমকিদাতা নেতৃবৃন্দকে নিতে হবে।”এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর