টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটে লৌহজং নদীর উপর ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণের দাবী সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে পৌরসদরের বাবু বাজার এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।জানা যায়, মির্জাপুর লৌহজং নদীর কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটটি দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ পারাপার হয়। ঘাটটি জেলা পরিষদ থেকে প্রতিবছর ইজারা দিয়ে থাকে। ইজারাদার বা খেয়াঘাটের মাঝি বছরের ছয়মাস (বর্ষায়) খেয়া নৌকা দিয়ে এবং গ্রীষ্মকালে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাত্রী পারাপার করে। খেয়া নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করতে গিয়ে বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে। গ্রীষ্মকালে নদীর উভয় পাড়ের ঢালু বেয়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে বৃদ্ধ ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া এলাকার রোগীদের খেয়া বা সাঁকোর কারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে নিতে হয় বলে এলাকার ভুক্তভুগিরা অভিযোগ করেন। গত শনিবার জোয়ারের পানিতে সাঁকোটি ভেঙে গেলে দীর্ঘ এক সপ্তাহ এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তিন কিলোমিটার ঘুরে সাধারণ মানুষের মির্জাপুর বাজারে যাতায়াত করতে হয়েছে। নদীর উপর ব্রীজের দাবিতে বাবু বাজার, সরিষাদাইড়, আন্ধরা, দুর্গাপুর, ভাওড়া, মন্দিরাপাড়া, মুসলিমপাড়া ও পাহাড়পুরসহ আশেপাশের তিন শতাধিক মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেন।সমাবেশে বক্তৃতা করেন, প্রাণ গোপাল সাহা, মুক্তি সাহা, সাত্তার হোসেন, বাবলু কর্মকার, পিন্টু সাহা, শ্রীদীপ সাহা, ভাওড়া ইউপি সদস্য ময়নাল হক, মন্তোষ কর্মকার ও সালাউদ্দিন ডন বক্তৃতা করেন।কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, খেয়াঘাটটিতে একটি পায়ে হাটা ব্রীজ হলে সাধারণ মানুষের জন্য ভাল হয়।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন বলেন, কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে লৌহজং নদীর উপর ব্রীজ করা সম্ভব। জায়গাটি কুমুদিনী ট্রাস্টের। তাঁরা চাইলে ফুটওভার ব্রীজ নয় বড় ব্রীজ করা যাবে।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর