রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন ছোটবনগ্রাম এলাকার বারোরাস্তা মোড় ভেঙে গোলচত্বর নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও সবুজ সংহতি।মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ১০টায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে কর্মসূচি শেষে একটি স্মারকলিপি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিমানচত্বর থেকে বিহাস পর্যন্ত চার লেনবিশিষ্ট ব্যস্ততম সড়কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হচ্ছে বারোরাস্তা মোড়। কিন্তু গোলচত্বর ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের অভাবে এই মোড় এখন ‘মরণ রাস্তার মোড়’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। পথচারী ও যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে।স্মারকলিপিতে জানানো হয়, গত ২৯ এপ্রিল এক যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. আশরাফুল (৩৫) গুরুতর আহত হন। এর আগে, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুরনজিত মহলদার একই স্থানে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যান। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হাসান আহমদ একইভাবে দুর্ঘটনায় আহত হন। স্থানীয়দের দাবি, বারোরাস্তা মোড়ে প্রতি মাসে ১০-১৫টি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। গাড়িচালকরা নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে চলাচল করেন। এটি শুধু দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায় না, নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাও কেড়ে নিচ্ছে।তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: বারোরাস্তা মোড় ভেঙে দ্রুত একটি সুপরিকল্পিত গোলচত্বর নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সার্বক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ ও ডিজিটাল সিগনাল চালু, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, স্পিড ব্রেকার ও ট্রাফিক নির্দেশিকা বসানো এবং বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, ট্রাফিক আইন নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং স্থানীয় যুব সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করা।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক ও সবুজ সংহতির আহ্বায়ক মাহবুব সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।বক্তারা আরও জানান, যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয়, তাহলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর