ভোলার চরফ্যাশনে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে জামায়েত নেতার বাড়িতে অনশনের বসেছেন রুজিনা বেগম নামের এক তরুণী।শুক্রবার (২ মে) বিকেল থেকে উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের জামায়েত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ মানসুরের বাড়িতে অনশনে বসেন ওই তরুনী। সাইফুল্লাহ মানসুর ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত আবু তাহেরের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের জামায়েত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। অপরদিকে অনশনে বসা তরুনী জোসনা বেগম একই উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের জসিম মুন্সির মেয়ে। এবং সম্পর্কে তারা একে অপরের দুঃসম্পর্কের ফুফাতো ভাই- বোন।তরুণী জোসনা বেগম জানান, সাইফুল্লাহ মানসুর তার দুঃসম্পর্কের ফুফাত ভাই। ৩ বছর আগে প্রেমের প্রস্তাব দেন সাইফুল্লাহ। পরে মুঠোফোনে কথা হয় তাদের দুজনের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর পরিবারের অজান্তে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন দুজন। এরপর ঢাকায় গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন সংসার করেন তারা। পরে সাইফুল্লাহ তাকে ভাড়া বাসায় রেখে কাজের জন্য গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ সময় থাকা খাওয়ার জন্য বিকাশে টাকা পাঠাতেন সাইফুল্লাহ মানসুর। তরুণী আরো বলেন, আমাকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন সংসার করেছে সাইফুল্লাহ। এখন তার মা-বাবা আমাকে মেনে না নেওয়ায় স্ত্রীর হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন। আমাকে তার পরিবার ও সে মেনে না নিলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমার।এদিকে ঘটনার পর থেকে গাঁ ঢাকা দেন অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ মানসুর ও তার পরিবারের সদস্যরা। এবিষয়ে যোগাযোগ করার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।চরফ্যাশন উপজেলা জামায়াতের আমির মীর শরিফ জানান, তারা সম্পর্কে একে অপরের আত্মীয়স্বজন। ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক হতে পারে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসব।লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর