বাংলাদেশ দেশ কৃষি প্রধান দেশ। গ্রামগঞ্জের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হলেও ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় মূলত দুই মৌসুমে ধানের আবাদ করা হয়।এই উপজেলার কৃষকদের বেশি পছন্দ বোরো ও আমন ফসল। এক সময় এই অঞ্চলে পর্যাপ্ত আউশ ধানের চাষ করা হলেও বর্তমানে বোরো এবং আমন ধানের ফসলের দিকে কৃষকদের আগ্রহ অনেকটাই বেশি।তবে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে এখনও উপজেলার কিছু অঞ্চলে স্বল্প পরিসরে আউশ ধানের ফসল চাষবাদ করেন কৃষকরা। বর্তমানে ইরি বোরো ধান পুরোদমে মাড়াই শুরু হয়েছে। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে কৃষকরা আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাদের সোনার ফসল ঘরে তুলছে মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ধান কাটার পাশাপাশি এলাকার কৃষক কৃষানীরা নিজের হাতে ভাত খাওয়ার জন্য কাঁচা ধান পাতিলে সিদ্ধ করে শুকিয়ে চাল বানানোর জন্য উপযুক্ত করে তুলেছেন। যারা কৃষি কাজ করেন তারা কষ্ট করে ধান সিদ্ধ করছেন। অনেকেই ধান গুলো বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদের উপর কিংবা গ্রামীণ রাস্তার ধারে সিদ্ধ ধান গুলো রোদে শুকিয়ে নিচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকার কারণে কৃষক কৃষাণীরা ধান সিদ্ধ করে শুকানোর কাজ সেরে নিচ্ছে।ত্রিশাল পৌরসভার নওধার গ্রামের কৃষক তাফাজ্জল হোসেন বলেন, আমরা কৃষক মানুষ। বোরো ধান চাষ করে খেতে হয়। এগুলো দিয়ে সারা বছর চলে তাই ধান সিদ্ধ করছি। সদর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমানে অনেক রোদ পড়েছে বৃষ্টি নেই ধানগুলো সিদ্ধ করছি ,দুই-একদিনের মধ্যে ধান শুকিয়ে চাল করার উপযুক্ত হয়ে যাবে। তার পর মেশিনের মাধ্যমে ভাঙ্গানো হবে। কৃষাণী জরিনা বেগম বলেন প্রতিবছর ধান সিদ্ধ দেওয়া হয়। বাড়ির উঠানে খড়ের আগুনে সবাই মিলে ধান সিদ্ধ করি।ত্রিশাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা বোরো ধানের আবাদ করেছেন।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর