দেশীয় কচুরমুখি এখনো উঠতে কিছুদিন দেরী রয়েছে তাই দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় এগারো মাস বন্ধের পর আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি হয়েছে। প্রথমবারের মত টেস্ট স্বরুপ অল্প পরিমানে আমদানি হয়েছে দেশের বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো থাকলে পরবর্তীতে আমদানির পরিমান বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ভারত থেকে একটি মিনি পিকআপ আমদানিকৃত কচুর মুখি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। হিলির রোশনি ট্রেডার্স নামের এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে এই কচুর মুখি আমদানি করেছে। ভারতের মধ্যপ্রদেশ অঞ্চল থেকে কচুরমুখি আমদানি করা হচ্ছে। সর্বশেষ বন্দর দিয়ে গত বছরের ১৩ মে কচুরমুখি আমদানি করা হয়েছিল।আমদানিকৃত কচুরমুখি খালাসের দায়ীত্বে নিয়োজিত লিয়াকত আ্যন্ড কোং সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট এর মালিক মুশপিুকর রহমান বলেন, আমাদের দেশে যে কচুরমুখি সেটি এখনো উঠতে দেরী রয়েছে। এছাড়া ভারতের কচুরমুখি খেতেও বেশ ভালো যার কারনে দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় আমার আমদানিকাকর রোশনি ট্রেডার্স ভারতের মধ্য প্রদেশ থেকে কচুরমুখি আমদানি করেছেন। আজকেই এই মৌসুমে প্রথমবারের মত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কচুর মুখি আমদানি হয়েছে। আজ ভারত থেকে একটি ট্রাকে প্রায় ১২ টন কচুরমুখি আমদানি হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমদানিকৃত কচুরমুখি ছাড়করনের জন্য বিলঅবএন্ট্রি সাবমিট থেকে শুরু করে পরিক্ষন শুল্কায়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর পর আরোপিত শুল্ক পরিশোধ স্বাপেক্ষে আউটপাশ সম্পুর্ন করে বন্দর থেকে খালাস করে আমদানিকারককে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আমদানিকৃত কচুরমুখি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। এসব কচুরমুখি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে আজকেই প্রথম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি করা হয়েছে। রোশনি ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক এই কচুরমুখি আমদানি করেছেন। এরপরে সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের দপ্তরে আবেদন করেছেন। আমদানিকৃত কচুরমুখি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে সনদ প্রদান করা হবে। এরপর কাস্টমস তাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কচুরমুখি ছাড়করন করবে।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর