শরীয়তপুরের রুদ্রকর নীলমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বছরের খেলার মাঠ দখল করে সড়ক নির্মাণের নির্মাণ সামগ্রী রাখার অভিযোগ উঠেছে। এতে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় খেলোয়াড়রা। দ্রুত নির্মাণ সামগ্রী না সরালে মাঠটি পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির নিজস্ব খেলার মাঠের জায়গা স্বল্প হওয়ায় অদূরে একটি বড় মাঠ তৈরি করা হয়। মাঠটি এলাকার শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের অন্যতম নির্ভরতা ছিল। সম্প্রতি রাতের আঁধারে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণের পাথরচূর্ণ ও পিচ ফেলে রাখে মাঠজুড়ে। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে।সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রাখা পাথর ও ছড়িয়ে থাকা পিচের কারণে খেলাধুলা তো দূরের কথা, হাঁটাচলা করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক শিশু খেলতে গিয়ে হাত-পা কেটে আহত হচ্ছে। মাঠের একটি অংশ জুড়ে রাখা হয়েছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক মেরামতের নির্মাণ সামগ্রী। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সামী বলেন, “আমাদের মাঠে পাথর ফেলে রাখায় আমরা খেলতে পারছি না। দ্রুত এগুলো সরানোর দাবি জানাই।”আরেক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “মাঠে খেলতে না পারায় এখন মোবাইলেই সময় কাটছে। এটা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।”শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় খেলোয়াড়রাও। খেলোয়াড় রোহান খান বলেন, “ছোট ছোট পাথরে পা কেটে গিয়েছে। এখন আর খেলতে পারছি না।”স্থানীয় খেলোয়াড় নাহিদ হাসান বলেন, “শত বছরের মাঠটি খেলাধুলার প্রাণ ছিল। এখন মালামালের স্তূপে সব শেষ হতে বসেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।”বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) মনিরুল ইসলাম বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা অপরিহার্য। মাঠে খেলতে না পারলে শিক্ষার্থীরা মোবাইল আসক্তিতে জড়িয়ে পড়বে। তাই দ্রুত মাঠ পরিষ্কার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কে বা কারা অনুমতি ছাড়াই মালামাল রেখেছে, আমরা জানি না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, খেলার মাঠ দখলের অধিকার কারও নেই। দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর