দিনাজপুরের বিরামপুরে জিন তাড়ানোর কথা বলে এক ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী কিশোরী (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সুজন ইসলাম (২৭) নামে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ।সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. মমতাজুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর (চান্দুপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মামলা সূত্রে জানাযায়, গ্রেফতারকৃত সুজন ইসলাম (২৭) একজন তান্ত্রিক, ঝাড়-ফুঁ জানায় সে বিভিন্ন এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করেন। মাঝে মধ্যে ওই গ্রামে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা আদায় এবং ঝাঁড়-ফুঁ করতে আসতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর (চান্দুপাড়া) গ্রামে আসেন। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী কিশোরী কে দেখে তার মাকে ডেকে বলে যে, যদি তার দেওয়া পানি পড়া তার মেয়েকে পান করা হয়, তাহলে তার মেয়ের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পাবে। জ্বীনের আঁচর হইতে রেহাই পাবে। এমন মিষ্টি কথায় ওই কিশোরীর মা তাকে সরল মনে বিশ্বাস করেন। কবিরাজকে বিশ্বাস করে ওই কিশোরীর মা পাতিলে করে পানি এনে দেন।পরে কবিরাজকে পাতিলে করে পানি দিলে ওই কিশোরীর মা কে আঙিনায় দাঁড় করে তার চার দিকে মাটিতে দাগ একে দেন। দাঁগ দিয়ে তাকে বলে যে,যদি এই দাগের বাহিরে বের হয় তাহলে জ্বীনেরা তাদের পরিবারে বড় ধরনের ক্ষতি করবে। একথা বলে জ্বীন তাড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে নিয়ে এক পাতিল পানি সঙ্গে নিয়ে তাদের ঘরে ঢুকেন। ঘরে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।এসময় ওই কিশোরী চিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে ওই ব্যক্তিকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, উপজেলার পল্লীতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুজন ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা হয়েছে।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর