ভোলার চরফ্যাশনে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্য সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ভোলা-চরফ্যাশনসহ আঞ্চলিক সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস শ্রমিকরা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাস শ্রমিকরা ৯ সিএনজি আটক করেছেন।রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে ভোলার ৫ টি রুটে এ ধর্মঘটের ডাক দেন বাস শ্রমিকরা। স্থানীয়রা জানান, আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে বাস ও সিএনজির শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৩ থেকে ৪ জন লোক আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার পর থেকে ভোলার সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন ভোলা বাস শ্রমিকরা।আমজাদ নামের এক বাস শ্রমিক সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মহাসড়কে থ্রী হুইলার গাড়ি অথাৎ সিএনজি চলাচল করত পারবে না। সেই দাবী নিয়েই তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এছাড়াও অধিকাংশ সিএনজি চালকদের সিএনজি চালনায় যথেষ্ট জ্ঞান না থাকার ফলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাই মহাসড়কে সিএনজি নিষিদ্ধ না হওয়া পযন্ত তাদের ধর্মঘট চলবে।অপরদিকে সিএনজি চালকরা বলছেন, কিছুদিন পর পর ভোলার বাস শ্রমিকরা সিএনজি চালকদের উপর নানান ভাবে ঝুলুম করছে। যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা বাঁধা সৃষ্টি করে। এদিকে এ ঘটনার পর সন্ধ্যা থেকে ভোলা-চরফ্যাশন রুটের বাস ও সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বাস শ্রমিকরা ভোলা বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খন্ডখন্ড মিছিল করছে। তবে ওই বাস স্ট্যান্ডে পুলিশ ও র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো: আবদুল মান্নান জানান, বিকেলে চরফ্যাশন উপজেলার থেকে অন্যন্যা পরিবহন নামে বাসটি ভোলার উদ্দেশ্যে রওনা করে। চরফ্যাশন বাজারে এসে যাত্রী উঠানোর সময় সিএনজি শ্রমিকরা অন্যানা পরিবহন বাসের ড্রাইভার সজিব ও সুপারভাইজার তানজিলের উপর হামলা চালায়। এঘটনার বিচার ও সিএনজি চলাচল আঞ্চলিক সড়কে বন্ধ না হওয়া বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।ভোলা সিএনজির মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন জানান, চরফ্যাশনে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এতে তাদের সিএনজির শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের ৯ টি সিএনজি ভোলায় বাস শ্রমিকরা আটক করেছেন। তবে তারা এখন পর্যন্ত কোন কর্মসূচি ঘোষণা করেননি। আর দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতায় বসার কথা রয়েছে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর