আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে সারাবছর মিলছে পাকা আম কাটিমন।এই জাতের আম দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই জাতের আম স্বাদে ও মানের কারনে অনেকটা চাহিদা বেড়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় নানা জাতের আম চাষে মেতে উঠেছেন এলাকার আম চাষীরা। যার ফল স্বরূপ সারা বছরই মিলছে কাটিমন জাতের আম। বর্তমানে এই জাতের পাকা আম পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। তবে দাম কিছুটা চড়া প্রতি কেজি আমের মূল্য দুইশ’ পঞ্চাশ থেকে তিনশ’ টাকা এখন আর জ্যৈষ্ঠের ফল উৎসবে আম পাড়তে অপেক্ষা করতে হয় না সাপাহারের আম চাষীদের। মৌসুমী ফল আগাম জাতের আম বাজারে আসতে এখনও প্রায় দেড় মাস বাঁকী। আগাম ভাবে পাকা কার্টিমন আম বাজারে পেয়ে অনেক টাই খুশি ক্রেতারা। শুধু তাই নয় এক দিকে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছে অপর দিকে ব্যবসায়ীরাও এই জাতের আম বিক্রি করে সন্তোষ প্রকাশ করছেন।আম চাষী আজিজার রহমান বাবুর ১৫ বিঘা ও গোয়ালা ইউনিয়নের সারোক ডাঙ্গা এলাকার হাফিজুরের ১৫ বিঘা সহ অন্যন্য বারো মাসি আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বারো মাসি আমের বাগান থেকে কাটিমন আম পেড়ে কার্টুনে ভরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন। আজিজার রহমান বাবু ও হাফিজুর বলেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরে বারো মাসি আম চাষের সঙ্গে জড়িত। এর আগে ভালো লাভবান না হলেও এবার আমের দাম ভালো হওয়ায় আমরা গত তিন মাসে প্রায় ২২ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। আশা করছি সামনে ছয় থেকে আট মাসে আরও প্রায় ৩০ লাখ টাকার আম বিক্রি করবো।তারা আরও বলেন, এখনো আমাদের বাগানে পাকা আম আছে। এই আমের সব কাস্টমার অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গাছ থেকে নামানো আম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আমাদের বাগানে এখনও কাটিমন, বারি-১১, ২ ধরনের সুস্বাদু আম আছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাপাহার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাপলা খাতুন বলেন, কাটিমন জাতের আম প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়। এটি অনেক সুস্বাদু ও রসালো। যার ফলে অসময়ে আম খেতে পেয়ে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেন। বর্তমানে আম্রপালি ও কার্টিমন জাতের আম সারাদেশে সাড়া পড়েছে। যারা এ ধরণের আম চাষ করবেন তাদেরকে উপজেলা কৃষি অধিদফতর থেকে সকল প্রকার পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর