নোয়াখালীর সদরে ঐতিহ্যবাহী একটি মসজিদের মূল গেইটের স্থানে অবৈধভাবে টং দোকান বসিয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশের পর সেনাবাহিনীর নির্দেশে মসজিদের গেইট থেকে অবৈধ দোকান সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে দোকান সরিয়ে নেন আলমগীর হোসেন।নোয়াখালী সদরের সোনাপুরের পশ্চিমে পাক-কিশোরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত চান্দ মিয়া হাজি জামে মসজিদের মূল ফটকের স্থানে টং দোকান দেয়া জবরদখলকারী আলমগীর হোসেন স্থানীয় ৬ নং নোয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি তার পেশি শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় দখলদারিত্ব করে মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাধা দিয়ে যাচ্ছিলো বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর।এর আগে, মসজিদের মুসল্লিরা ও এলাকাবাসীরা আলমগীরের এই জবরদখলের বিরুদ্ধে মৌন প্রতিবাদ জানালেও আলমগীর গং দের ভয়ে কেউ জোরালো প্রতিবাদ বা পদক্ষেপ নেয়ার সাহস করেনি। পুরো সমাজ এই আলমগীর গং দের ভয়ে তটস্থ হয়েছিল, আলমগীর সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে মসজিদের নির্মাণ কাজে বাধা প্রদানের জন্য মসজিদের মূল ফটকের সামনে একটি টং দোকান বসিয়ে সবজি বিক্রির লেবাসে মসজিদ কমিটির কাছে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। নিরুপায় হয়ে মসজিদ কমিটি নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পরিষদ ১৬ এপ্রিল তাকে সাত দিনের সময় দিয়ে দোকান সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়। কিন্তু সে তাতেও কর্ণপাত না করে বহাল তবিয়তে বসে থাকে। এর আগেও এলাকায় সামাজিক রাজনৈতিক নানান বৈঠকে কারো কথাই সে পাত্তা দেয়নি, এবং কারো কোন নির্দেশনা মানতে রাজি হয়নি। গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে সবার মতামতকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে সে এমন সমাজবিরোধী জবরদখল চালিয়ে যাচ্ছিল। সবশেষে এসব বিষয় নিয়ে সময়ের কণ্ঠস্বরে সংবাদ প্রকাশের পর তা দৃষ্টিগোচর হয় সেনাবাহিনীর। সংবাদ প্রকাশের পরের দিন সেনাবাহিনী সরেজমিনে গিয়ে দেখে শুনে আলমগীরকে দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য একদিনের সময় বেঁধে দেয়। এরপরেও সে সামান্য মালামাল সরিয়ে বাকি দোকানঘর ধরে রাখে, এর ভেতরে দুই দিন সময় কেটে যায়। ঠিক তিন দিনের মাথায় সেনাবাহিনী আলমগীরকে রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ফোন করে জানতে চায় যে দোকান সরিয়েছেন কিনা ? তৎক্ষণাৎ সকাল নয়টার মধ্যে তড়িঘড়ি করে আলমগীর দোকান সরিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ঘটানাস্থলে এসে মসজিদের গেইট পরিষ্কার দেখতে পায়। দোকান সরিয়ে নেওয়ার ঘটনার বিষয়ে সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন বলেন, মসজিদের গেইট জঞ্জালমুক্ত হওয়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। মসজিদের স্বার্থে সময়ের কণ্ঠস্বর এমন সংবাদ প্রকাশের জন্য প্রতিবেদক ও সেনাবাহিনীর প্রতি এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর