আমাদের সমাজের অনেকেই স্বাভাবিক জীবন থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। এসব প্যাসেন্টদের কে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে এক অভাবনীয় আবিষ্কার করেছেন এই তরুন উদ্ভাবক। তার স্বপ্ন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোও তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে।প্যারালাইস আক্রান্ত শিশুদের জন্য ওয়াকার উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশী তরুন শোভন পারভেজ। দক্ষিণ এশিয়ায় এটি প্রথম আবিষ্কার দাবি তার। স্পাইনাল কোট ইনজুরি সেলিবাল পালসি আক্রান্তদের ওয়াকার মানুষিক ও শারীরিক বিকাশে কার্যকর বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শোভনের আবিষ্কারে রয়েছে অটোমেটিক স্টান্ডিং হুইলচেয়ার। শোভনের আশা এই সকল হুইলচেয়ার অল্প দামে বাজারে দেওয়া সম্ভব বলে জানান এই তরুন উদ্ভাবক। দুর্ঘটনা বা নার্ভ শুকিয়ে অনেক শিশুদের পড়তে হয় প্যারালাইস রোগে।শিশুদের চলাফেরা করার সমস্যা দুর করতে ব্যতিক্রম একটি ওয়াকার আবিষ্কার করেছেন সিআরপি গণকবাড়ি সেন্টারের ইন্জিনিয়ার শোভন পারভেজ। বাচ্চারা এই হুইলচেয়ারে বসেও হাঁটার অনুভূতি নিতে পারবে।কারোর সহযোগীতা ছাড়াই এই চেয়ারে বসে চলাচল করতে পারবে। থেরাপির পরিবর্তে চিকিৎসকের পরামর্শে এই ওয়াকারটি হাঁটাচলা করতে পারবে শিশুরা। বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশে এই ওয়াকারটি থাকলেও যার দাম কয়েক লাখ টাকা তবে শোভনের এই ওয়াকার টি মাত্র ৫০ হাজার টাকায় বাজারজাত করা সম্ভব। শোভন পারভেজ বর্তমানে কর্মরত আছেন সেন্টার ফর দি রিয়াবেশন অফ দি প্যারালাইজড রিয়াবেলিশন ইন্জিনিয়ার এবং মেটাল ওয়ার্কশপ সুপারভাইজার হিসেবে সিআরপি গণকবাড়ি সেন্টারে।বর্তমানে তিনি সিআপিতে কর্মরত রয়েছেন। প্রথম তার প্রজেক্ট ছিল মেনুয়াল স্টান্ডিং হুইলচেয়ার নিয়ে কাজ শুরু করা।পরবর্তীতে এক্সজাসকিলোরেটার রোবটেট ওয়ার্কার নিয়ে।তার আরেকটি উদ্ভাবন হলো জয়স্টিক কন্ট্রোল পাওয়ার হুইলচেয়ার। সিআরপির গণকবাড়িতে রয়েছে একটি ওয়ার্কশপস।সেখানে কর্মরত রয়েছেন অনেকে মানুষ। একদিকে যেমন নিজেদের জীবিকার চাহিদা পুরণ হচ্ছে অন্যদিকে মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন। খুবই কম দামে সিআরপির গণকবাড়ি সেন্টারে তৈরি করা হচ্ছে পঙ্গু মানুষের জন্য সব ধরনের যন্ত্রাংশ।তারা চেষ্টা করছে প্যারালাইসড রোগীদের মাঝে এই সকল নতুন উদ্ভাবন ছড়িয়ে দিতে।এই কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান,আমরা এমন মানবিক একটি কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পেরে ধন্য মনে করছি।আমরা মনে করি আমাদের এই কাজ দিয়ে দেশের পাশে দাঁড়াতে পাড়বো।সিআরপির ইন্জিনিয়ার শোভন পারভেজ বলেন, আমার চেষ্টার ফলে যদি একজন মানুষ একটু ভালো মতো হাঁটাচলা করতে পারে তাহলে নিজেকে সফল মনে করবো। আমি চাই গ্রাম এলাকায় আমার এই আবিষ্কার পৌঁছে দিতে। আমার দীর্ঘ দিনের চেষ্টা সফলতার মুখ দেখায় আমি আজ আনন্দিত।এই বিষয়ে সিআরপি গণকবাড়ি সেন্টারে ডিজিএম জিয়াউল হক খান বলেন, সিআরপি একটা মানবিক প্রতিষ্ঠান। সিআরপি গণকবাড়ি সেন্টারে রোগীদের জন্য তিনটি ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে। যারা প্রতিবন্ধী মানুষ তাদের জন্যই আমাদের এই হুইলচেয়ার তৈরি করা।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর