যশোরে কখনো পিবিআই আবার কখনো পুলিশ পরিচয়ে মেহেদি হাসান শাহিন দম্পতি অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা স্বামী স্ত্রী মিলে রীতিমতো প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন। জাল কাবিননামা তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। শাহিন চক্রের বিরুদ্ধে এক ভুক্তভোগী কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর তাদের প্রতারণা ফাঁস হয়েছে। যশোর শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার মৃত ওলিউল্লাহ’র ছেলে এমরান হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আরবপুর দিঘীরপাড় এলাকার মেহেদি হাসান শাহিন ও তার দুই স্ত্রী জেসমিন আক্তার মিতা এবং রেজওয়ানা পারভীন নিজেদেরকে কখনো পুলিশ আবার কখনো পিবিআই সদস্য পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপকর্ম করছে। চাঁদাবাজি ও জাল কাবিননামা বাণিজ্যে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এই দম্পতি রীতিমতো প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন। তারা জাল কাবিননামা তৈরি করে সহজ সরল মানুষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেন। একই ভাবে এমরান হোসেনও তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত ২০২০ সালে ৩ আগস্ট জাল কাবিননামা তৈরি করে মিতাকে তার স্ত্রী বানিয়েছেন। এর মাধ্যমে ৪৬ লাখ ৯২ হাজার ১শ’ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এ চক্রটি। এরপর টাকা ফেরত চাইলে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। এমরান আরও জানান, অভিযুক্তরা তাকে ও তার পরিবারকে জিম্মি করে নানা সময় টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের কারণে এমরান এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অবশেষে ২৫ এপ্রিল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। যশোর কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর