নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় এ বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। অল্প বীজে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকেরা বাঙ্গি চাষে ঝুঁকছে।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল বলে পরিচিতি কোলা, পারমল্লিকপুর, নোয়াপাড়া, কোলা দিঘলিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে বাঙ্গির চাষ করেছেন এ এলাকার কয়েক হাজার কৃষক। বাঙ্গি চাষ করে অনেক পরিবার সচ্ছল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি সময়মত বীজ-সার পওয়ায় ক্ষেতে ফলনও হয়েছে ভাল। কোলা, পারমল্লিকপুর ও দিঘলিয়া এলাকার কৃষকরা জানান, প্রতিদিন প্রায় ১ টন বাঙ্গি জমি থেকে সংগ্রহ করছেন কৃষকরা। উপজেলার লোহাগড়া বাজার, দিঘলিয়া বাজার, এড়েন্দা বাজার, শিয়রবর বাজার, মানিকগঞ্জ বাজার, মিঠাপুর বাজার, লাহুড়িয়া বাজারে বিক্রি হচ্ছে এ বাঙ্গি। এছাড়াও যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকেই বাঙ্গি কিনছেন। আকার অনুযায়ী প্রতিটি বাঙ্গির দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাঙ্গি সাধারণত বেলে ও আঠালে জাতীয় হয়ে থাকে। আঠালে বাঙ্গি খেতে মজা। আঠালে বাঙ্গি তরকারী হিসাবে খাওয়া যায়।কৃষক মো. বিল্লাল হোসেন সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, এক একর জমিতে বাঙ্গির চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো। আমি নিজেই বাজারে খুচরা বাঙ্গি বিক্রি করছি। প্রতিদিন ভালোই বাঙ্গি বিক্রি করছি।কৃষক মো. রাসেল মোল্যা, মতি মিয়া, মুরাদ ইসলাম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, সাধারণত মাঘ মাসে বাঙ্গির বীজ লাগানো হয়। এক একর জমিতে এক মন টিএসপি, এমপি ইউরিয়া সার দিতে হয়। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে বাঙ্গি খাওয়ার উপযুক্ত হয়। এ উপজেলায় বাঙ্গির জন্য কোনো হিমাগার নাই। বাঙ্গি সংরক্ষনের জন্য হিমাগার থাকলে আমাদের মতো গরিব চাষিদের আর দুঃখ থাকত না। অনেক সময় অবিক্রীত বাঙ্গি বাড়ির গরু-ছাগলকে খাওয়াতে হয় বলে তারা জানান।বাঙ্গি ব্যবসায়ী সুমন ও বোরহান সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ‘বাঙ্গি একদিকে যেমন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, তেমনই বেকার যুবকের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করেছে।’লোহাগড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি আবহাওয়া বাঙ্গি চাষের উপযোগী বিধায় ফলন খুব ভালো হয়েছে বলে জানান কৃষি অফিস থেকে। বাঙ্গির চাষের ব্যাপারে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে থাকেন কৃষি অফিস থেকে যাতে ফলন বেশি হয়।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর